“To begin with they are smaller and weaker, so they get slapped punched raped abused and in general get the shit beat out of them on a rather regular basis. By men of course, who are stronger. If women were stronger this wouldn’t be happening. Men would not raise a hand if they thought the balance was more equal. They’d back down quickly…”
Carlin
সিরিয়াসলি ভাবা শুরু হয়ে গেছে, এবার গ্রাসরূট লেভেলে কাজ চালু হয়ে যাওয়া উচিত। প্রস্তরযুগের সমাজব্যবস্থায় নারীকে গুহাতেই থাকতে হত কারণ সংসার তার হাতে, সন্তান তার হাতে, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তারই হাতে। পুরুষের দায়িত্ব ছিল শিকার এবং প্রহরা। তার শরীরেও কোমলতার প্রয়োজন ছিল না, মেদের তুলনায় পেশীর ভূমিকা বেশী ছিল, শিশুপালনের আনুষাঙ্গিক বোঝাও বইতে হত না। সার্ভ অ্যান্ড প্রটেক্ট। (যারা ছেলেদের বিখ্যাত ‘উইক পয়েন্ট’ দেখিয়ে বলবেন যে ওইটা রইল কেন, তাদের জন্য এক্সপ্লেন করি, মানুষের শরীরের আভ্যন্তরীণ উত্তাপ যা, তাতে শুক্রাণু জন্মায় না। তাই ওটা যে প্রত্যঙ্গে তৈরী হয় সেটা বাইরে ঝোলে। গরম লাগলে বেশী দূরে ঝোলে, ঠাণ্ডার সময় একটু কাছে গুটিয়ে আসে কারণ অপ্টিমাম উত্তাপ মেনটেন করতে মূল শরীরের থেকে তাপ ধার নিতে হয়। এটা আমাদের শারীরিক ডিজাইনের একটা ফ্ল। বিবর্তনে শোধরানোর সুযোগ পায়নি এখনো।)
এখন প্রস্তরযুগ নেই। সমাজব্যবস্থা পাল্টে গেছে। এখন আর ছেলে = তাগড়া আর মেয়ে = নুলমুলে, এই ইকুয়েশনের দরকার নেই। কোনো ইকুয়েশনেরই দরকার নেই, আসলে, কারণ জীবন অঙ্ক নয়। কিন্তু প্রয়োজনের খাতিরেই এখন মেয়েদের একটু কম নুলমুলে হতে শেখা উচিত। আর কিছুই না, যে কারণে হীরক রাজার দেশে বাচ্চারাও রাজদ্রোহ শিখেছিল সেই একই কারণ: সময়ের দাবী। রাতবিরেতে একা বাড়ি ফিরতে গিয়ে আমার হয়তো ছিনতাই হতে পারে, খানিক মারধর। কিন্তু আমি যদি মেয়ে হতাম তাহলে সেই সাথে ধর্ষণটাও হত। আমি পুরুষ, আমি ক্যারাটে না জানলেও ত-বু-ও হ-য়-তো চলে। কিন্তু মেয়ে যদি হতাম, তাহলে মনে হয় চলত না। জিওমেট্রি শেখার সাথে সাথে ওইটাও অবশ্যপাঠ্য করে নিতে হত, কারণ ওটাও তো রোজ প্রাণ বাঁচাবে।
আজকে থেকে নতুন সেশন শুরু হল স্কুলে। আমি যে ক্লাসের ক্লাসটীচার তার নাম এইট বি (এই নিয়ে আরো গল্প আছে), তাদের সাথে প্রথম আলাপ হল। কে কী ভালোবাসে জিজ্ঞেস করছিলাম। টি.টি. ক্রিকেট ফুটবল আর্ট ডান্স চেস সুইমিং সবরকম চলছিল, একটা মেয়ে বলল ডান্স শেখে, আর উইল বি লার্নিং বক্সিং। আমি খুব খুশী হয়ে ক্লাসে সেটা হাইলাইট করলাম।
আগের বছর (বছর বলতে সেশন) আমার ক্লাসগুলোয় দুটো মেয়ে ছিল যারা একটু টমবয় গোছের। টমবয়ও নয় ঠিক, খেলাধূলা ভালোবাসে টাইপের। সেভেনে পড়ে, এইটে উঠছে, এখন থেকে অভিনেত্রী আর মডেলদের দেখে দেখে নিজেদের সেন্স অফ বিউটি (অ্যান্ড সেক্সিনেস) ডিফাইন করতে শিখবে। ব্যাগে করে লুকিয়ে চিরুনি-আয়না আনা শুরু করেছে এদেরই কেউ কেউ। এরা যারা অদ্যাবধি অ্যাথলেটিক, তারাও স্লিম হওয়ার চক্করে ফিটনেসকে বিসর্জন দেবে। আমি একটা মিনি-অ্যাকশন নিলাম।
সোনালী স্বামীর সাথে তো আলাপই আছে। আর তার পাশাপাশি এতদিনে পোচুর মহিলা অ্যাথলেট দেখে ফেলেছি। ওয়ান্ডার উওম্যান বেরোনোর বহু আগে থেকে ব্রুক এন্সকে চিনি। আমি সোনালী সহ আরও খান ছয়েক ওরকম পাবলিক, যারা মারকাটারি অ্যাথলেট তথা ফাটাফাটি দেখতে, তাদের ছবি সহ ইন্টারভিউ যোগাড় করে, ওয়ার্ডে সেগুলো ফেলে ফরম্যাটিং ঠিকঠাক করে, তার প্রিন্ট আউট নিলাম। – তার পর এক এক কপি করে মেয়ে দুটোকে ধরিয়ে দিলাম। চেঞ্জ ইওর প্যারাডাইম।
এমন কোনো কথা নেই যে সব মেয়েকে অ্যামাজনই হতে হবে, কিন্তু উল্টোদিকে পাল্লা এত বেশী ভারী যে আমি ব্যালেন্স করার জন্য এদিকটাতেই বাতাস করব। ‘প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য, ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা।’
পরিশিষ্ট এক: নীলা রে বলে একজন ভদ্রমহিলা নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে একটা প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন, যাতে কোনোরকম ইকুয়েপমেন্ট ছাড়া জিম করা যায় এবং দারুণভাবে ফিটনেস বাড়িয়ে তোলা যায়। ওঁর ভাবনা ছিল যে যারা গরীব, খেতেশুতে পায় না ঠিকমত, তারা কোথায় পাবে কেট্লবেল-ট্রেডমিল-প্রোটীন সাপ্লিমেন্ট মার্কা ট্রেনিং? তাদের জন্য শুধুমাত্র বডিওয়েট এক্সারসাইজের ওপর ডিজাইন করা ওয়ার্কআউট প্ল্যান বানান তিনি। যা খালি হাতে আউটডোর ইনডোর যেকোনো জায়গায় ঝপাঝপ নামিয়ে দেওয়া সম্ভব। একেকটা ওয়ার্কআউট প্ল্যানের নামও দেন দুর্দান্ত: ব্যাটম্যান ওয়ার্কআউট, ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা ওয়ার্কআউট, দ্য জেডাই ওয়ার্কআউট, ব্লেড রানার ওয়ার্কআউট, মেইড অফ টার্থ ওয়ার্কআউট। এমনি এমনি নয়, যে চরিত্রের সাথে যে ধরনের ফিটনেস খাপ খায় সেই সঙ্গতি রেখে দেওয়া নাম। লোকে এমনিতেই জোশ পেয়ে যাবে। সবক’টার ফ্রি JPEG বা PDF পাওয়া যায়, ওদের ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে দেখে নেওয়া যায় কোন ব্যায়ামটা কীভাবে করতে হয়। — ছড়িয়ে যাক।
https://darebee.com/https://www.youtube.com/channel/UCXe7DaqwzCQUkneU38FeUGg/videos
পরিশিষ্ট দুই: যত বোন আর বোন্ধু আছে সবাইকে নকল দাড়িগোঁপ কিনে দে। শালার ঝামেলাই শেষ