ডাল

রোয়াল্ড ডাল বলে একজন খুব ভালো লোক ছিলেন যিনি ছোটদের জন্য বই লিখতেন। উনি একটা বই লিখেছিলেন ‘দ্য উইচেস’। তাতে একটা বাচ্চা ছেলে জাদুর বশে ইঁদুর হয়ে গেছিল। ইঁদুর হয়ে সে ঢুকে পড়েছিল বিশাল নামী এক হোটেলের রান্নাঘরে। ঢুকে দেখে কী, সবকিছু কী বিশ্রী, কী নোংরা! রাঁধুনিরা বিচ্ছিরিভাবে রান্না কর‍ছে! এক মহিলা মাংসের ঝোল পছন্দ হয়নি বলে পাল্টে দেওয়ার জন্য ফেরত পাঠিয়েছে, তাতে সব রাঁধুনিরা মিলে থুতু ফেলে ওই একই প্লেট ডাইনিং টেব্‌লে ফেরত পাঠাচ্ছে! বমি-পাওয়া ব্যাপার সব!

যারা খাচ্ছে তারা তো আর বুঝতে পারছে না? তারা মহানন্দে খাচ্ছে!

এই যে আমি ইস্কুলে চাকরি করি আর বাচ্চাদের পড়াই, হেঃ হেঃ, রান্নাঘরের ভেতরটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন না, কিন্তু আমি এখন পাই! এবার দুটো অপশন, ভয়ানক কষ্ট পাওয়া, বা পুরোটাকে টকিয়ে নিয়ে পৈশাচিক আনন্দে কনভার্ট করে দেওয়া। ভেবেছিলিস চিরকাল বংশবৃদ্ধি করে যাবি? পয়সা খসালেই পিঠ বেঁচে যাবে? পপুলেশন এক্সপ্লোশন, 
রিসোর্স ডিপ্লিশন, এনভায়রনমেন্টাল ব্রেকডাউন – সব বাজে বুকনি, আঁতেলদের ধাপ্পা? হিঃ হিঃ হিঃ হিঃ খিক্ খিক্ খিক্ খিক্ খ্যাঃ খ্যাঃ খ্যাক্- – –

“জনগণ, আইস সমবেত হও, এবং স্বীকার করিয়া লও যে তোমাদের চারিপাশে জল বাড়িয়াছে”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *