রাস্তার চরিত্র হল, তা দিয়ে দু’মুখেই হাঁটা যায়। এসব খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। এই রাস্তা টাস্তা নিয়েই কথা হচ্ছিল কয়েকদিন আগে।
কোনো এক অলটারনেটিভ ইউনিভার্সে আমি একটা বই লিখব, যাতে দুই ভাই থাকবে, একজনের নাম Tormund আর আরেকজনের নাম Amarmund। এরা একটা পাবে ঢুকে পয়সা দিয়ে মদ কিনে খাবে এবং পাবওয়ালাকে বলবে যে মদ ভালো নয়, এবং তার পরেও পয়সা দিয়ে আরো মদ খাবে। এরা একদমই আমাদের মতো হবে।
যাইহোক, বিদ্যাপীঠে থাকাকালীন আমি বেশ কিছু অদ্ভুত জিনিস করেছিলাম। আমরা বেশীরভাগজনাই করেছিলাম নানারকম অদ্ভুত জিনিস। যেমন একজন স্যার ক্লাস থেকে বার করে দেওয়ার পরে দরজার বাইরে থেকে আঙুল দিয়ে কাঁচি দেখাচ্ছিল আর ভেতরের আমাদেরকে হাসাচ্ছিল। আরেকজন ছিল যে একবার পিঠে লাল গামছা বেঁধে… যাক্ গে সেসব কথা। আমি আমার কথা বলছিলাম।
আমি একবার আমার সেই ইয়াশিকা জুনিয়র ক্যামেরা নিয়ে ছবি খুঁজতে বেরিয়েছিলাম ক্যাম্পাসে। আজকাল ছবি পাওয়া অনেক সোজা। প্যানোরামা, ম্যাক্রো, নানারকম ফিল্টার, সবকিছু লিটারালি হাতের মুঠোয়। তখন কঠিন ছিল। আমি ছোটো খাটো কোনো কিছুর ছবি তুলতে পারবো না। তা, খুঁজতে খুঁজতে উত্তরদিকের বাউন্ডারীর কাছে গেছি, মানে যেদিকটা ‘সিঙ্গুর’, আর নাইট গার্ডদের পাহারার কেবিন ছিল। সেখানে পেলাম এই ছবিটা।
দুটো মোষের লড়াই। কাছে যাওয়া অবশ্যই বেশ ঝুঁকির কাজ ছিল। তাও আমি যতটা পারা যায় কাছিয়েছিলাম। এই ছবিতে তো দেখে মনে হচ্ছে অনেক দূরেই। কিন্তু ততটাও দূরে ছিল না।
পেছনে যে ইউক্যালিপটাসের বনটা দেখা যাচ্ছে, বন নয় যদিও, সেটা আরেকটা এক্সেপশনাল জায়গা ছিল।