পয়লা বৈশাখের দিনে সূর্যোদয়ের ছবি না দিয়ে আর কোথায় যাই।
বিদ্যাপীঠের আকাশ চিরকালই তুলনাহীন। অবশ্য তুলনাহীন হবে কেন, কারো একটা হাসিরই তো তুলনা হয়ে আকাশে ওই কারুকার্য ছড়ানো থাকত, সেই যার সাথে কে যেন দুলেছিল বনে? যাক গে সেসব ব্যক্তিগত কথা। কোথা থেকে আবার চাঁদ-টাদের কথা চলে আসবে তারপর।
ফেসবুক হল এযুগের মহামিলনমেলা। সবাই জুটেছে, নানান ধান্দায়। আমরা আপাতত কিছু চরিত্র, মাত্র কয়েকজন মিলেই, স্মৃতিবিলাসের খেলা শুরু করেছি। আসলে টের পাওয়া যায়, যে তেলে গাড়ি চলছে তার উৎস অতীতের গর্ভে। তাই ভবিয্যতের ওপর বিশ্বাসটুকু টিকিয়ে রাখতেই মাঝে মাঝে পুরোনোর মুখোমুখি বসা।
আজ আবার নববর্ষ। নববর্ষ ঠিক কতদিন নতুন থাকে? শুধু পয়লার দিনটা? নাকি তার চেয়ে অনেক বেশীক্ষণ নতুন থাকে নতুন বছর, পরের বছর এসে দরজায় দাঁড়ানোর মুহূর্তে পুরোনো হয়ে যায়? – নাকি মাঝামাঝি কখনো। বছরের কি মাঝবয়েস হয়?
পুজো যখন আসে সেসময়টা মনে হয় বছরের মাঝবয়েস।
এই ছবিটা কিন্তু বিদ্যাপীঠে তোলা নয়। এটা তোলা বিদ্যাপীঠের বাস থেকে। এক্সকারশনের ভোরে। ক্লাস নাইনের এক্সকারশন, রাঁচিতে যাওয়া হয়েছিল (আমাকে রেখে আসা হয়নি কেন সে প্রশ্ন সম্পূর্ণ অবান্তর)। বাস ছেড়েছিল খুব ভোরে। তার আগে আমরা আবার স্নান সেরে রেডি হয়েছিলাম, একটু একটু এখনও মনে পড়ে, সেই বাইরে-এখনও-অন্ধকার দেখতে দেখতে হাড়জমানো শীতে স্নানে যাবার কয়েক পলক। বাস ছেড়ে গেট দিয়ে বেরোনোর পর বেশ কিছুদূর গিয়ে, যদ্দূর মনে পড়ে গোশালার কাছাকাছি একবার থেমেছিল। তখন দেখি পেছনের আকাশে সূর্য উঠছে। এক্সকারশনে সবাই (অ্যাপ্রক্স) ক্যামেরা তো নিতই। আমি জানলা দিয়ে হাত গলিয়ে বার করে ছবি তুললাম, এক্সকারশন সানরাইজ।