আজকে তাদের ইয়ে কী বলে রিভিশন করানোর কথা আমার। একসারসাইজ থেকে প্রশ্ন দাগিয়ে দিয়েছি, তারা বসে বসে সলভ করছে। একটা মেয়ে দেখি কোলের ওপর বায়োলজি বই খুলে বসে আছে, – কী অজুহাত না হিস্ট্রি বই নেই। এদিকে আরেক বিশিষ্ট বিচ্ছু বালিকা – তার নাকি বই আছে খাতা নেই – সেও বসে বসে উসখুস করছে। বায়োলজি বইটায় দেখি একটা জঙ্গলের ছবি। বইবিহীনাকে জিজ্ঞেস করলাম – জঙ্গল গেছিস কোনোদিন? বলল যায়নি। বিচ্ছু বালিকা এদিকে কানখাড়া করে ছিল, বলল – আমি গির গেছি। জিজ্ঞেস করলাম – গির মানে এশিয়াটিক সিংহ যেখানে আছে সেইখানে তো? বলল হ্যাঁ। ব্যাস – আর পাচ্ছে কে – কুমীরের গল্প – অল রোডস লীড টু রোম – এশিয়াটিক সিংহের কথা উঠেছে মানে আমি তো লাইন পেয়ে গেছি।
জিজ্ঞেস করলাম, অ্যাই তোরা আফ্রিকান সিংহ আর এশিয়াটিক সিংহ আলাদা করে চিনতে পারবি? – বলল স্যার বেশী বড় হয়। – বললাম কোনটা বেশী বড় হয়, আফ্রিকারটা না এশিয়ারটা? বলল স্যার আফ্রিকা। আমি বললাম আর সাইজ বা কেশরের সাইজ ছাড়া আর কোনোভাবে চিনতে পারবি? বলল – নাস্যার…
মনে মনে উল্লসিত হইলাম। আজকে ফার্স্ট পিরিয়ডে একটা প্রক্সি ছিল ফাইভে – সেটায় ওদের গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়নে কেন ফসিল নিয়ে গবেষণা করার সুবিধা সেই কথা শোনাচ্ছিলাম – আর তাই বোর্ডে একটা খুদে অ্যাপাটোসরাস আর একটা খুদে সেবারটুথ টাইগার আঁকতে হয়েছিল (ওরা সবাই দেখলাম ডিয়েগো-কে চেনে)। সুতরাং – খানিকটা চড়েই ছিল। সিংহ তফাত করতে পারে না শুনে তাই এবার পকেট থেকে মার্কারটা বার করলাম। তারপর ওদের হলুদ ডেস্কের ওপর আউটলাইন করে এঁকে কেসটা দেখালাম – এদেশী সিংহের কেশর পেট অবধি গড়িয়ে আসার ব্যাপারটা। তারপর জিজ্ঞেস করলাম – অ্যায়, তোরা আফ্রিকার হাতি আর এশিয়ার হাতি আলাদা করে চিনতে পারবি?…