হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া

কালো মরুভূমি রাস্তায়, ঠান্ডা বাতাস লাগে আমার চুলে
কোলিতার ভুরভুরে গন্ধ, কোলিতা মানে গেছি ভুলে
সামনে দেখি একটু দূরে, হালকা কাঁপ্পাকাঁপা আলো
ভাবলাম রাতটা কাটিয়ে দি, মাথা ধরে ছিল খুব
চোখেও দেখছিলাম না ভালো।

দরজায় দেখি কে একটা দাঁড়িয়ে
মাথায় একহাত ঘোমটা টানা
এদিকে আমি শালায় মনে মনে ভাবছি
‘এখন জুটলে হয় রাতের খানা।
মাগীর হাতে ছিল হ্যারিকেন, ‘আসুন’ বলে দিল ডাক
যেতে যেতে কাদের গলা পেলাম, বোধহয় ঘরের দরজা ছিল ফাঁক
“আয় ঘুম যায় ঘুম দত্তপাড়া দিয়া
আয় ঘুম আয় আমাদের হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া
কী যে কাজল কালো আমার এই হোটেলদীঘির জল
সেই জলে কার মুখের ছায়া বল ওরে মন বল।”

তার মন যেন জিলিপির প্যাঁচ, তার ঝোলায় ওঁয়া ওঁয়া ডাক
তার ঘরে বসত করে কয়জনা কেউ জানে না, মাইরি আস্ত মৌচাক
প্রাঙ্গনতলে নাচিতেছে তারা, গায়ে বহিতেছে ঘাম
কেহ গাহে ‘হরিবোল’, কেহ গাহে ‘কেবা শুনাইল শ্যামনাম’
আমি এইসব দেখে বললাম “কাপ্তান
আনো দেখি এক পাঁইট মাল,”
কাপ্তান দাঁত বার করে বলে “বাবু সে তো ফুরিয়েছে সেই উন্নিশশোউনসত্তর সাল”

আর দূর থেকে কাদের গলা শোনা যায় ওই
মাঝরাতে শুনি খোনা গলায় ডাক, ‘চই চই চই-
আয় ঘুম যায় ঘুম দত্তপাড়া দিয়া
আয় মরা হাঁস আয় আমাদের হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া
আটুল-বাঁটুল শ্যামলা-শাটুল শ্যামলা গেল হাটে
কী সোনা ধান ফলেছে লো সই মোদের সোনার মাঠে।

কড়িকাঠে সাঁটা আর্শি,
ঠান্ডা নোয়াপাতি ডাব
ঘোমটার ভেতর থেকে বলে, “তোঁমার সাঁথেঁ কঁরবঁ ভাঁব”
এদিকে তখন সবাই জুটেছে গিয়ে
জনার্দন মাস্টারের ঘরে
রামদা দিয়ে লাগায় কোপের পর কোপ, কিন্তু
তবু যদি জানোয়ারটা মরে,
শেষটা শুধু মনে আছে আমি
বারান্দা দিয়ে ছুটছি প্রাণপণ
পাগলের মতো খুঁজছি সেই যে
দরজাটা দিয়ে ঢুকলাম তখন
দরজায় একটা কালো রোগামতো লোক
বলে “কেন ছুটে মরেন সার,
এই হোটেলের একটাই নিয়ম
ঢুকলে ছাড়ান নাই আর!”

মা-মাউ-মাউ-মাউউউ
মাউ-মাউ-মাউ-মাউউউউউ…….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *