তিন বছর আগে ফেসবুকেই আমরা সাতদিন ধরে বিদ্যাপীঠের ছবি দিয়ে এই খেলা খেলেছিলাম। মনে ছিল না, ফেসবুকই ফিরে দেখাল।
তিন বছর তো অনেকদিন। তিন বছর মানে তখন আমি নিজের দেশে। তিন বছর আগে আমি কোনো স্কুলে চাকরি করিনা, কোনো ক্লাসরুমের সাথে সাজস নেই, গলায় আই কার্ড নেই। জীবনে যে আমিও কোনো চাকরি তিন মাসের বেশী করতে পারব, এই ধারণা নেই। তিন বছর আগে স্টিফেন হকিং আছেন, স্ট্যান লি-ও। আমার ঝুলিতে কোনো রিলিভিং লেটার নেই। ছেলেমেয়েদের লেখা চিঠি নেই।
যা ছিল তা হল বিদ্যাপীঠ। আর সেই বিদ্যাপীঠ, এখনও থেকে গেছে।
ক্লাসরুমে কীভাবে বিদ্যাপীঠ ফিরে ফিরে আসে, এসে পিঠে হাত রাখে, কথায় কথা মিলিয়ে গল্প বলে, তা শুধু আমিই জানি। সেসব কথা ফেসবুকে বলতে আর ভালো লাগে না। কয়েকজন ছাড়া সেকথা বোঝার মতো কেউ এখানে নেই। বাকিরা বুঝবে না, ওজন করবে।
ছবির খেলাটা আরেকবার খেলি বরং।
===========================
এই ছবিটা ২০০৫-এর। পুজোর ছুটির পরের বিদ্যাপীঠ তখন, কালীপুজোর মরশুম। সেদিন সকালে বৃষ্টি হয়ে গেছে, আর আমি ক্যামেরা নিয়ে গেছি চ্যারিটেবিলের রাস্তায়, ছবি তুলতে। তখন দেখেছিলাম এই সবুজ গাছে বৃষ্টিভেজা লাল রঙ্গন। একপাল বদরসিক ছাওয়াল রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিল, আমি ক্যামেরা হাতে নিয়ে মাপজোক করতে করতে তারা একদম কাছে চলে এসেছে দেখে আমি তাড়াতাড়ি ক্লিক করে দিই, তাও এক হতভাগার হাত আর হাওয়াই চপ্পল ফ্রেমে চলে এসেছে দেখে হেবি বিরক্তি লেগেছিল। ছবির ট্র্যাংকুইলিটি নষ্ট করে দিল!
এখন আর বিরক্ত লাগে না। কারণ এই সব ছবি তো আর শুধু ছবি নেই, গল্প হয়ে গেছে। গল্পের কি কোনো খুঁত হয়?