আর্কিটেকচার

আর্কিটেকচার নিয়ে আমি কিছুই জানি না বললেই হয়। তাই তা নিয়ে আমার কিছু বলা বা লেখা – সাধুভাষায় ধৃষ্টতা, চলতি কথায় লোকহাসানো। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না।

এই যে যা-নিয়ে-জানিনা-তা-নিয়ে-বলা, এটা খুব একটা বিরল বিষয় নয় যদিও। প্রায়ই লোকজন এই কাজ করে থাকে। সবচেয়ে নিষ্পাপ ঘটনা সেগুলো যেখানে ‘নায়ক’ জানেও না যে সে যা বলে যাচ্ছে তা একশো পারসেন্ট ঘাস। এ হল স্বর্গীয় মূর্খতা। এর চেয়ে একটু কমা কেস – আমি জানি যে আমি জানি না, কিন্তু লোককে টের পেতে দিই না। এরকম কিছু লোক আছে। আমাদের একজন হায়ারসেকেণ্ডারীর ফিজিক্স পড়াত, নাম ছিল অরূপ স্যার। বিভিন্ন রামকৃষ্ণ মিশনে গেস্ট টীচার হিসেবে পড়াত, আর ছেলেদের বারোটা বাজাত। সে ওইরকম কনফিডেন্টলি ভুল পড়াত। এবং অ্যালং উইথ গ্রেট ক্যালিকেতা। – অনেকটা প্রফেসর লকহার্ট-এর মতো, যারা চেনে তারা বুঝবে।

আর স্বর্গীয় মূর্খামির একদম উল্টো পিঠ হল সাদা স্বীকারোক্তি – ভাই আমি জানি না। অনেকসময়েই সক্রেটিস বা শ্রীরামকৃষ্ণের মতো মানুষেরা এই কথাটা বলে থাকেন, তাতে লোকে ভাবে অহো কী অনন্য বিনয়। কিন্তু সত্যি সত্যি তেনাদের মতো লেভেলে পৌঁছলে বোঝা যায় যে ওই সত্যি আসলে কতটা হাড়ে-হাড়ে টের পাওয়া সত্যি।

যাই হোক আর্কিটেকচার নিয়ে কথা হচ্ছিল। এই নিয়ে আমার জ্ঞান তো কিছুই নেই। তাই আর লিখলাম না। জানিই না তো লিখব কী!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *