সকাল থেকে দেখছি একটা ছবি এদিকেওদিকে ঘুরছে, – তাতে নাকি জগদীশচন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, কেশবচন্দ্র নাগ সবাই একসঙ্গে আছে। অত্যন্ত বিরক্তিকর, কারণ ছবিতে মোটেই কেশবচন্দ্র নাগ নেই।
না জেনেশুনে, খোঁজখবর না করে এসব অকাজ করার কোনো মানে হয়? আবার একজায়গায় দেখি কে একজন সলভে কনফারেন্সের সঙ্গে তুলনা করে ছবি দিয়েছে।
ছবিগুলো যে দিচ্ছে, একটু যত্ন করে ভালো কোয়ালিটির ছবিও যোগাড় করেনি। যেমন-তেমন করে যা পেয়েছে, পোস্টিয়ে দিয়েছে।
সলভে কনফারেন্সের কথা সবাই জানে, ওসব সাহেবী ব্যাপার, সাহেবরা যত্ন করে গুছিয়ে রেখেছে। আমাদেরটা তেমন ভালোভাবে রাখা নেই, তবে একটু ঘাঁটলে আসল তথ্য খুবই সুলভ। আমি মাইক্রোসফট পেইন্টে দুটো ছবি একসঙ্গে জুড়ে, তার পাশে তথ্য পেস্ট করে এই গ্রাফিকটা বানিয়েছি। এখানে দেওয়া রইল, যার দরকার হবে নিয়ে নেবেন।
ওপরের ছবির বর্ণনা নিষ্প্রয়োজন। একেবারে মাঝখানে আইনস্টাইনকে দেখা যাবে। আশেপাশে নীলস বোর, শ্রডিঙ্গার, পাউলি, হাইজেনবার্গ প্রমুখ অনেকে রয়েছেন, গগলস না পরিয়া তাকাইবেন না। এতগুলি কোটপ্যান্ট পরা ভদ্রলোকের মাঝে একমাত্র যে ভদ্রমহিলাটিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি আর কেউ নন – মেরী ক্যুরি।
নীচের ছবিতে রয়েছেন (চেয়ারে) মেঘনাদ সাহা, জগদীশচন্দ্র বসু, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ; (দাঁড়িয়ে) স্নেহময় দত্ত, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, দেবেন্দ্রমোহন বসু, নিখিলরঞ্জন সেন, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জী, নগেন্দ্রচন্দ্র নাগ। আর এক-দু’জন মানুষ যদি থাকতেন তাহলে ছবিতে আগুন ধরে যেত, তাই তাঁরা আর সেদিন আসেননি। কারা, সেটা বুঝে নিন।
নীচে বিরলতর ছবিটা আরেকবার বড় করে দেওয়া গেল।