ক্লান্তি (পড়ুন ল্যাদ) এবং সময়াভাব (পড়ুন আলোইস্য) – এই দুইয়ের কারণে বেনিয়া সহকলা উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে খুব বেশী লেখা হচ্ছে না। কিছু খুচরো বিকল্প দরকার।
আমি একটা যন্তরখানা খুলেছি, তাতে আমার খানপাঁচেক ছাত্রছাত্রী আছে, মাঝেমধ্যে সেখানে আমি তাদের সাথে ভাঁটাই, – বাংলায় যাকে বলে চ্যাটিং। সেখানে মাঝেমাঝে বেশ ভালো ভালো ইয়ে হয়।
আমি যদি সেখান থেকে কিছু কিছু জিনিস তুলে এনে এখানে দেওয়ালে টাঙাই, তাহলে সেটা একটা খুচরো বিকল্প হতে পারে।
আমাদের আড্ডাখানার নাম ‘দ্য রোডহাউস’। বিখ্যাত জায়গা। ঘরের পশ্চিমদিকে দেখবেন, জানলাটার ঠিক পাশেই, একটা কাঠের স্ট্যান্ডের ওপর একটা চামড়া-বাঁধানো বড় খাতা রাখা থাকে। রোডহাউসে কারা এসেছে, কারা বসেছে, কারা গল্প করে গেছে – তাদের একটা মোটামুটি রেকর্ড ওই খাতাটায় পাওয়া যায়। দু’এক কলম লেখাও পাবেন কিছু লোকের, – সেটা খুবই কম যদিও। বেশীরভাগের শুধু সই, বা ওই জাতীয় কিছু একটা স্বাক্ষর।
রোডহাউসের একটা ব্যাপার হল – এর অনেকগুলো নাম আছে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন নামে চেনে। আমরা মোটামুটি একটা জেনেরিক নাম হিসেবে ‘রোডহাউস’ ব্যবহার করছি। অাপনি অন্য জায়গায় এই নাম নাও পেতে পারেন।
যেমন, এক জায়গায় আপনি এর কথা পাবেন ‘ট্যাবার্ড ইন’ নামে।
অন্য আরেক জায়গায় আরেক জন লিখেছেন – ‘দ্য প্র্যান্সিং পোনি’।
কোথাও আছে ‘অ্যাডমিরাল বেনবাও ইন’; কোথাও আছে ‘মস আইজলি’। আবার অনেকে বলে ‘হগস হেড’।
মোট কথা, এতরকম লোকের কাছে এর এতরকম নাম, যে তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই। বছরের পর বছর ধরে এইরকম চলে আসছে। এখন যেমন আমরা। এক কোণায় একটা টেবিল ঘিরে বসেছি। আরও কোন টেবিলে কোথায় কী হচ্ছে কে জানে। পরে জানা যাবে।
দেখি, কী কী এই দেওয়ালে এনে তোলা যায়।
#Roadhouse0